শেখ রাসেল রচনা ও শেখ রাসেল এর জীবন বৃত্তান্ত
"শেখ রাসেল রচনা ও শেখ রাসেল এর জীবন বৃত্তান্ত" পোষ্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন শেখ রাসেল এর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শেখ রাসেল এর ছোট থেকেই হৃদয়টা ছিল বিশাল বড় ও উদার মনের অধিকারী।সাধারণ মানুষের প্রতি ছিল তার অগাত ভালোবাসা। ছোটবয়স থেকেই অন্যায়কে কখনও মেনে নিতেননা।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিল সব সময় প্রতিবাদ মুখর। তার শিশু সুলভ আচরণের মধ্যে শুধু মাত্র সরলতা নয় বরং ছিল আদর্শ ও দার্শনিক বিষয়ও। চলুন যেনে নেওয়া যাক শেখ রাসেল সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভূমিকা
শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন শেখ রাসেল। পূর্ব পাকিস্তানের সময় ১৯৬৪ সালে পাকশাসনের আমলের সময়টি ছিল রাজনৈতিকষড়যন্ত্র ও নানা ঘটনা প্রবাহে টাল মাটাল এক সময়।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সময়ে বাঙালির মুক্তির অগ্রদূত হয়ে ওঠেন।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ভাষা আন্দোলন, পাক শোষণ সহ নানা বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর সৎ সাহসীই পরিণত করে বাঙালি জাতির মুক্তির অগ্রদূত।আর ঠিক সেইসময় ঐ বছরেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় আলোকিত করে জন্ম হয় এক শিশুর।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বুকের ধন কনিষ্ঠ সন্তান এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখহাসিনার আদরের ছোট ভাই। ইতিহাস তা চেনে শেখ রাসেল নামে। স্বপরিবারকে মেরে ফেলা হয়েছে তার ভিতরে রয়েছিল অবুঝ শিশু শেখ রাসেলও।
শেখ রাসেলের জন্মদিন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১৯৬৪ সালে ১৮ অক্টোবর তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকার ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর ভবনে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এ শত্রুর নির্মম বুলেটের আঘাতে শিশু শেখ রাসেল মৃত্যু বরণ করেন।
সেই সময় শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং তার সাথে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে থাকেন।
শেখ রাসেলের দুরন্ত শৈশব
শৈশব থেকেই শেখ রাসেল ছিল অত্যন্ত দুরন্ত প্রকৃতির। বাইসাইকেলই ছিল তার দুরন্তপনার এক মাত্র বাহন। তিনি নিয়মিত স্কুলে যেতেন কোন প্রকার রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়াই। পাড়ার আর দশজন ছেলের মতোই সাধারণভাবে ঘুরে বেড়াত।
বিখ্যাত সাংবাদিক এ বি এম মুসা স্মৃতিকথায় শেখ রাসেল সম্পর্কে লিখেছিলেন যে, কদিন থেকে বিকাল ৫টার দিকে দ্রুতগতিতে ৩১ নম্বরের অপ্রশস্ত রাস্তা থেকে ৩২ নম্বরে ঢুকেই আমার সামনে একে বারে ধপাস। তারপর গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাড়াল প্রাণবন্ত শিশু শেখ রাসেল। প্রতিদিন বিকালে লেকের পূর্বপাড়ে এমনভাবেই সাইকেল নিয়ে চক্কর মারত শেখ রাসেল।
তার সীমানা ছিল মধ্যবর্তী ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পূর্ব প্রান্তের সাদা একটি দালান পর্যন্ত সাইকেল আরোহীর দৌড়ানোর সীমানা। উদ্বিগ্ন মমতাময়ী মা, তীক্ষ দৃষ্টি দিয়ে ৩২ নম্বরের বাড়ির বারান্দায় দাড়িয়ে শেখ রাসেলকে নজর রাখতেন যেন কোন ভাবেই দুষ্ট ছেলেটি সাইকেল নিয়ে সীমানার বাইরে না যায়। শেখ রাসেল অত্যন্ত দুরন্ত গতিতে সাইকেল চালাতো।
অনেকসময় ব্রেক কষতে গিয়ে অথবা মোড় ঘোরার সময় কখনো কখনো পড়ে যেতো। শেখ রাসেলের সাইকেলের পাশাপাশি ছোট একটি মটরসাইকেলও ছিল। যেটি নিয়ে সে কখনও বাসায় বা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করত। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাওয়ার বেগে সাইকেলটা তুলে নিয়ে জোরে চোখের পলকে প্রজাপতির মতো উড়ে যেতো। শেখ রাসেলের দুরন্তপনা ছিল এমনই।
শেখ রাসেলের পছন্দ
শিশু শেখ রাসেলের অনেক কিছুই পছন্দের জিনিস ছিল। তার ভিতর প্রিয় খাবার ছিল পোলাও, ডিমপোচ, চকোলেট, সমুসা, কোক ইত্যাদি। অনেক সময় মজা করে কাঁচা ঢেঁড়স এ চিনি মিশিয়ে খেত। শুধু যে খাবারই নয় ছোট রাসেল পোশাক পছন্দের ক্ষেত্রেও অনেক সচেতন ছিলেন। বাবা শেখ মুজিবুর রহমান এর মতো প্রিন্স কোট, সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি ও মুজিব কোটও পরতে খুব ভালবাসতো।
এত কিছু পছন্দের ভিতরে মায়ে কিনে দেয়া সাইকেলটিও ছিল অনেক পছন্দের। প্রতিদিন বিকালে সাইকেলে চড়ে লেকের পূর্বপাড়ে চক্কর মারত। ৩২ নম্বর বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে মা ফজিলাতুন নেছা তীক্ষ দৃষ্টি রাখতেন সাইকেল প্রিয় রাসেলের সাইকেল ভ্রমণের দিকে। ভাগ্নে সজীব ওয়াজেদ জয় ছিল শেখ রাসেলের প্রিয় সাথী। ভাগ্নের সাথে চকলেট ভাগাভাগি করে খেত।
এক সাথে ছেলা করত। শেখ রাসেল তার বন্ধুদেরকে খাবার, বই, খেলার জিনিসপত্র উপহার দিতে খুব পছন্দ করত। রাসেল যখন গ্রামের বাড়িতে যেত তখন গ্রামের বন্ধুদের জন্য নানা রকম জামা কাপড়, উপহার নিয়ে যেত। গ্রামের প্রত্যাকটি মানুষের সাথে মিশতে খুব পছন্দ করত। পুকুরের মাছ ধরতে খুব পছন্দ করত। কিন্তু মজার বিষয় হলো মাছ গুলো ধরে আবার ছেড়ে দিত পুকুরে।
গণভবনের মাছগুলোকে নিয়মিত খাবার খাওয়াত রাসেল। বাসার কবুতরগুলোকে নিজ হাতে খাবার দিতেন। সবাই কবুতরের মাংস খেত কিন্তু রাসেলকে কবুতরের মাংস দিলে সে খেত না। কারন কবুতরকে সে খুব ভালবাসতো।
শেখ রাসেলের মৃত্যু কাহিনী
১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সাল বাংলা ২৯ শ্রাবণ ১৩৮২ রোজ শুক্রবার এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য একটি দুঃখ, কষ্ট, শোক-বেদনার দিন। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের বেদনাবিধূর একটি শোকের দিন। এই দিনে বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমাকে সহ সপরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
এই হত্যাকান্ডের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর অনেক আদরের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলও। পরিবারের সকল সদদ্যের সাথে তাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে। শেখ রাসেলকে হত্যা করে তার লাশ একটি লুঙ্গিতে পেচিয়ে ফেলে রাখা হয়। এই দিনে মানবতার শত্রু ঘাতকরা মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দোতলায় নিয়ে গিয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে।
গুলি করার ফলে মাথা উড়ে গিয়েছিল। শেখ রাসেলের পরনে হাফ প্যান্ট ছিল। তাকে মারার আগে পিতা, মাতা, চাচা. ভাই ভাবীকে ছোট শেখ রাসেলের চোখের সামনে নৃসংশভাবে হত্যা করে। শেখ রাসেল তার বাবা ও মায়ের সাথে দোতলার একটি রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কাজের ছেলে আবদুর রহমান শেখ উরফে রমার বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায় যে, আর্মিরা শেখ নাসের, রাসেল ও আমাকে নিচতলায় এনে লাইনে দাড় করায়। সেই জায়গায় সাদা পোশাকে এক পুলিশের লাশ দেখতে পাই। আর্মিরা শেখ নাসেরকে নির্দিষ্ট করে জিজ্ঞেস করে তুমি কে? পরিচয় পাওয়ার পর তাকে বাথরুমে নিয়ে যায়।
তার কিছুক্ষণ পরেই গুলির শব্দ ও ‘মাগো’ বলে চিৎকার শুনা যায়। ছোট শেখ রাসেল মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য ভীষণ কান্না করছিল। সেই সময় আর্মি শেখ রাসেলকে বলে চল তোমার মায়ের কাছে নিয়ে যাবো। শেখ রাসেলকেও দোতলায় নিয়ে যায় এবং তার কিছুক্ষন পরই গুলির শব্দ ও আর্তচিৎকার শুনতে পাওয়া যায়।
পরে জানা যায়, মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শেখ রাসেলের অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মেজর আলাউদ্দিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশু রাসেলের লাশ মূল বেডরুমে তার দুই ভাবির মাঝখানে পড়ে ছিল। সম্ভবত আগুনে পা ঝলসে যায় এবং মাথাটি উড়ে গিয়েছিল। শেখ রাসেল হাফ প্যান্ট পড়ে ছিল। লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো ছিল শেখ রাসেলের লাশটি।
শেখ রাসেলের কবরস্থান
প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল মারা যাওয়ার আগে আল্লাহর দোহায় দিয়ে খুনিদের আর্তি জানিয়ে ছিলেন তাকে হত্যা না করার জন্য। বাড়ির অন্যান্য সকল সদস্যদের হত্যা করার পর একজন মেজর শেখ রাসেলকে বাসার নিচ থেকে দোতলায় নিয়ে গিয়ে রিভলবারের গুলিতে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে। যার ফলে খুব সহজেই থেমে যায় অপরিনত রাসেলে জীবন।
প্রতি বছরই দুই বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন তাদের ছোট ভাই শেখ রাসেলকে। দুই বোন কবর স্থানে গিয়ে শেখ রাসেলের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাসহ সপরিবারকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাই সেই সময়কাল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাসেলও রেহাই পাননি কুলাঙ্গারদের হাত থেকে। বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপারগঞ্জে বঙ্গবন্ধুকে দাফন করা হলেও রাসেলসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শেখ রাসেলের উপর রচিতগ্রন্থ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে তার পরিবারের সকলকেই নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে। তবে শেখ মুজিববুর রহমান ও তার মেয়ে শেখ হাসিনাকে নিয়েই বেশি বই লেখা হয়েছে। এমনকি দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার ছোট ভাইকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন যে বইটির নাম ‘সোনা’। তাছাড়াও শেখ রাসেলকে নিয়ে অনেক লেখক বই লিখেছেন। নিম্নে কয়েকটি শেখ রাসেলকে নিয়ে ভাল বই এর নাম ও লেখকের নাম দেওয়া হলো।
- শেখ রাসেলের জন্য ভালোবাসা- নুহু আব্দুল্লাহ
- বাঙালির হৃদয়ে শেখ রাসেল- ড আনু মাহমুদ।
- রাসেলের জন্য অপেক্ষা- সেলিনা হোসেন।
- বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল- রঞ্জনা বিশ্বাস।
- তাসেল তার আব্বুর হাত ধরে হেঁটে যায়- আনোয়ারা সৈয়দ হক।
- শেখ রাসেল কে লেখা চিঠি- লতফর রহমান রিটন।
শেখ রাসেল দিবস কবিতা
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঘরে ১৯৬৪ সালে ১৮ই অক্টোবর এ জন্ম গ্রহণ করেন ফুটফুটে এক ছেলে। সেই সময় নোবেল জয়ী বার্ট্রান্ড রাসেলের নাম অনুসারে বঙ্গবন্ধুর তার সব থেকে কনিষ্ঠ ছেলের না রেখে ছিলেণ শেখ রাসেল। শেখ রাসেল ছিল খুব চটপটে এবং সকলের আদরের ছোট সোনা।
খুব অল্প বয়সেই শেখ রাসেল বড় বড় বিখ্যাত সব ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করার সুয়োগ হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট নরকীয় হত্যাকান্ডে পরিবারের অন্য সব সদস্যের সাথে শহীদ হয় ছোট্র এই রাসেল। প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। নিম্নে শেখ রাসেল দিবসের কিছু কবিতা তুলে ধরলাম।
শেখ রাসেলের জন্মদিনে
শচীন্দ্র নাথ গাইন
মায়ের হাতে ভাত খেত আর চলত বাবার সাথে,
তাদের ছাড়া কাটত না দিন, ঘুম হতো না রাতে।
সবে তখন মন দিয়েছে বিদ্যালয়ের পাঠে,
পায়রা নিয়ে মজার খেলা খেলেই সময় কাটে।
একভোরে হয় শব্দ বিকট, জেগেই দেখে চেয়ে,
সে রাতের ধারায় রক্তনদী চলছে সিঁড়ি বেয়ে।
ডুকরে কেঁদে বুক ভাঙে তার, চায় যেতে মা’র পাশে,
তার আকুতি শোনার সাথেই বর্বরেরা হাসে।
দেখেই ভয়ে আঁতকে ওঠে নিথর দেহের মাকে,
ডাকার আগেই জল্লাদেরা ছুঁড়ল গুলি তাকে।
তাজা খুনে হাত রাঙিয়ে পশুর দলে ফোঁসে,
অবুঝ শিশু হত্যা করে পিশাচরা কোন দোষে?
সেই ছেলেটার জন্মদিনেও শোকে মানুষ কাঁদে,
খুশির আলো ছড়ায় না তাই সূর্য এবং চাঁদে।
নিষ্পাপ মুখ জড়িয়ে থাকে স্মৃতির ভাঁজে ভাঁজে,
শেখ রাসেলের জন্যে মানে ব্যথার সুরই বাজে।
শেখ রাসেলে দিবস উপলক্ষে আরও একটি কবিতা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
চির শিশু তুমি শেখ রাসেল
মাসুদুল জারিফ
তুমি প্রতীক শৈশবের
শহীদ সত্ত্বা রক্ত গঙ্গা চতুর্দিকে
ধ্বংশ বাংলার সৌরভ।
এইতো সেদিন জন্ম হলো
মায়ের কোলে আলো,
শিশু কিশোর তরুণ যুবা
তোমায় বাসতো ভালো।
পায়রা প্রেমে কাটতো সকাল,
দুপুরে বল খেলা,
আর বিকেলে বাইসাইকেল কেটে যেত বেলা।
সবার আদর স্নেহ সবার ভালোবাসা
উচ্ছাসে ভরে থাকতো ৩২ নম্বরের বাসা।
হঠাৎ একদিন প্রত্যুষ ধমকে গোলো সব
আমাদের ছোট্র রাসেল সোনা আর করনা রব।
তুমি কনিষ্ঠ পুত্র জাতির জনকের
বুলেট বুকে নিয়ে ঘুমিয়েছো ঘাতকের
হাসু আপনার আদর ছিলো দু’গাল জুড়ে চুম,
নিঃশ্বাস পাই রাসেল তোমার
দাও চির শান্তির ঘুম।
তুমি আছো চিরনিদ্রায় শায়িত
তুব বাঙালির হৃদয়ে নিষ্পাপ শেখ রাসেল
তুমি অবিস্মরণীয়।
উপসংহার
"শেখ রাসেল রচনা ও শেখ রাসেল এর জীবন বৃত্তান্ত" পোষ্ট সম্পর্কিত কোন মন্তব্য থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন।
ধন্যবাদ
সামরিন ইনফো।
শেখ রাসেল উনি কে?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান