ইন্দিরা গান্ধী: জীবন, নেতৃত্ব ও ঐতিহাসিক অবদান
ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী এবং এক শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এই কন্টেন্টে তার জীবনের প্রাথমিক থেকে শুরু করে নেতৃত্ব, সংকটময় মুহূর্ত ও ঐতিহাসিক অবদান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আসুন, ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়, রাজনৈতিক দর্শন ও ঐতিহাসিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানি এবং বুঝি তার প্রভাব কিভাবে ভারতের ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে রয়েছে।
১. ভূমিকা
ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী (১৯ নভেম্বর ১৯১৭ – ৩১ অক্টোবর ১৯৮৪) ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী ছিলেন। জওহরলাল নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা, ১৯৬৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং ১৯৮৪ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ভারতের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী এবং দ্বিতীয় দীর্ঘতম সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী নেতা ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীকে রাজনীতিতে তার দৃঢ় মনোভাব ও ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের জন্য পরিচিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের মধ্যে অন্যতম ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার সংগ্রামে সহযোগিতা করা, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনে সহায়ক হয় এবং ভারতের প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ায় প্রসারিত করে। তার নেতৃত্বে দেশ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন করে।
ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় মৌলিক নাগরিক অধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করে কড়া পদক্ষেপ নেন, যা ব্যাপক সমালোচিত হয়। ১৯৮৪ সালে স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন ব্লু স্টারের নির্দেশ দেয়ার পর তার শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে তিনি নিহত হন।
ইন্দিরা গান্ধীকে যুগান্তকারী নারী নেত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ১৯৯৯ সালে বিবিসি কর্তৃক তাকে 'সহস্রাব্দের নারী' এবং ২০২০ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিগত শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
২. ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম ও পরিবার
১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর এলাহাবাদে এক কাশ্মীরী পণ্ডিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর পিতা জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অগ্রণী নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
ইন্দিরা গান্ধীর একমাত্র ছোট ভাই ছোটবেলাতেই মারা যান, ফলে ইন্দিরা ছিলেন জওহরলালের একমাত্র সন্তান। এলাহাবাদের পারিবারিক এস্টেট আনন্দ ভবনে ইন্দিরা তার শৈশব কাটান। পিতার রাজনৈতিক ব্যস্ততা এবং মায়ের দীর্ঘদিনের অসুস্থতার কারণে ইন্দিরার শৈশব ছিল একাকীত্বে পূর্ণ।
৩. ইন্দিরা গান্ধীর শিক্ষা ও রাজনৈতিক চিন্তাধারা
ইন্দিরা গান্ধী গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পড়াশোনা শুরু করেন এবং পরবর্তীকালে দিল্লি, এলাহাবাদ, জেনেভা, বেক্স, এবং বোম্বাইয়ের বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীতেও কিছুদিন পড়াশোনা করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নাম দেন ‘প্রিয়দর্শিনী’।
পরবর্তীতে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমারভিল কলেজে ভর্তি হন এবং ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেন।
৪. ইন্দিরা গান্ধীর ব্যক্তিগত জীবন ও বিয়ে
ইন্দিরা লন্ডনে অধ্যয়নরত অবস্থায় ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে প্রায়শই দেখা করতেন, যাকে তিনি এলাহাবাদ থেকে চিনতেন। ফিরোজ ও ইন্দিরা গান্ধী পরে ব্রাহ্ম মতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি সন্তান হয়—রাজীব গান্ধী ও সঞ্জয় গান্ধী। ইন্দিরার স্বাস্থ্য কিছুটা দুর্বল হওয়ায় তিনি মাঝে মাঝে চিকিৎসা নিতে সুইজারল্যান্ডে যেতেন।
৫. ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক জীবন ও ভারতীয় কংগ্রেসে ভূমিকা
১৯৫০-এর দশকে ইন্দিরা গান্ধী তার পিতা, প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী নির্বাচিত হন এবং কেরলের প্রথম নির্বাচিত কমিউনিস্ট সরকারকে বরখাস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৬৪ সালে পিতার মৃত্যুর পরে ইন্দিরা রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হন এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
৬. ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া
১৯৬৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচনে মোরারজী দেসাইকে পরাজিত করে প্রধানমন্ত্রী হন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কামরাজ তার জয়ের মূল কারিগর ছিলেন।
অনেকেই ভেবেছিলেন যে ইন্দিরা একটি দুর্বল নেতৃত্ব দেবেন, তবে খুব দ্রুতই তিনি তার সাহসী ও দৃঢ় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্বের উদাহরণ স্থাপন করেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেন।
৭. ইন্দিরা গান্ধী ও মহাত্মা গান্ধীর সম্পর্ক
ইন্দিরা গান্ধী এবং মহাত্মা গান্ধীর মধ্যে সরাসরি কোনও রক্ত সম্পর্ক ছিল না, বরং তাদের সম্পর্ক ছিল রাজনৈতিক এবং আদর্শিক। মহাত্মা গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন নেতা এবং জওহরলাল নেহেরুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
ইন্দিরা, নেহেরুর কন্যা হিসেবে, ছোটবেলা থেকেই মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন এবং তার কাছ থেকে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
মহাত্মা গান্ধী ও ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যেখানে মহাত্মা তাকে ভারতের জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ এবং আত্মত্যাগের মূল্য শিখিয়েছিলেন। ইন্দিরার শৈশবে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত রয়েছে, যা তাকে স্বাধীনতা আন্দোলন ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি উৎসাহিত করেছিল।
বিশেষত, মহাত্মা গান্ধীর উপদেশে ভারতীয় খাদিবস্ত্র পরিধান এবং বিদেশি পণ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে ইন্দিরা গান্ধী স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন।
এছাড়াও, মহাত্মা গান্ধীর সরাসরি প্রভাব ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক জীবন ও নেতৃত্বের ওপর প্রভাব ফেলেছিল, যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্দিরা নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ ও কৌশল তৈরি করেন।
৮. ইন্দিরা গান্ধীর প্রথম শাসনকাল (১৯৬৬-১৯৭৭)
ইন্দিরা গান্ধীর প্রথম শাসনকাল (১৯৬৬-১৯৭৭) ভারতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে তিনি শুধু কংগ্রেস নেত্রী হিসেবে নয়, বরং ভারতের সর্বজনীন নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। যুদ্ধজয়, রাষ্ট্র পরিচালনা এবং আর্থ-সামাজিক সংস্কারের মাধ্যমে তিনি নিজের শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
৮.১. প্রথম শাসনকালে রাজনৈতিক অবস্থান ও চ্যালেঞ্জ
ইন্দিরা গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তাকে রাজনৈতিক ও কংগ্রেস দলীয় অস্থিরতার মুখোমুখি হতে হয়। দলীয় নেতারা তাকে ‘নির্বাক পুতুল’ বলে আখ্যা দিলেও, তিনি ক্রমে কংগ্রেসের মধ্যে শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হন।
তার শাসনকালে, সমাজতন্ত্রের দিকেও কংগ্রেসের অবস্থান দৃঢ় হয় এবং বিভিন্ন আর্থিক সংস্কার কার্যকর হয়। তিনি অনেক প্রবীণ নেতার বিরোধিতা সত্ত্বেও ব্যাংক জাতীয়করণ করেন এবং তার নেতৃত্বে কংগ্রেস বিভক্ত হয়ে 'কংগ্রেস (আর)' প্রতিষ্ঠা পায়।
৮.২. প্রথম বছরে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জ
১৯৬৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস পার্টির আসন সংখ্যা কমে গেলেও ইন্দিরা গান্ধী রায়বরেলি থেকে সংসদে নির্বাচিত হন। প্রথম শাসনকালের আরম্ভেই দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং খাদ্যসংকট ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে তাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি ব্যর্থ হওয়ার পর দেশব্যাপী ক্ষোভের সম্মুখীন হলেও তিনি দৃঢ়তার সাথে সমস্যা মোকাবিলা করেন।
৮.৩. কংগ্রেস বিভাজন ও নতুন দল গঠন
১৯৬৯ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের মতবিরোধ চরমে পৌঁছায়। ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ব্যাংক জাতীয়করণ নিয়ে মতানৈক্যের কারণে কংগ্রেস দল বিভক্ত হয়ে যায়। প্রবীণ নেতারা তাকে দল থেকে বহিষ্কার করলেও, তিনি তার অনুগতদের নিয়ে ‘কংগ্রেস (আর)’ প্রতিষ্ঠা করেন। এতে তিনি আঞ্চলিক দলের সমর্থনে সংসদে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হন।
৮.৪. গরিবি হটাও: আর্থ-সামাজিক সংস্কার
১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী সাধারণ নির্বাচনে ‘গরিবি হটাও’ (দারিদ্র্য দূর করো) স্লোগান প্রচার করেন। এর মাধ্যমে দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে থেকে তিনি ব্যাপক সমর্থন অর্জন করেন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
এই সময়ে গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কেন্দ্র সরকার থেকে অনেক অর্থসাহায্য প্রদান করা হয়। ফলে, এই কর্মসূচি গ্রাম্য সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করে এবং ইন্দিরা গান্ধীর জনপ্রিয়তাও বাড়ে।
৮.৫. ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারত চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। এই যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এ সময় ইন্দিরা গান্ধীকে ভারতের জাতীয় নেত্রী হিসেবে প্রশংসা করা হয় এবং তাকে ‘দুর্গা’ উপাধি দেওয়া হয়। এই ঐতিহাসিক বিজয় তাকে ভারতের এক অত্যন্ত প্রভাবশালী ও শক্তিশালী নেত্রীতে পরিণত করে।
৯. দ্বিতীয় শাসনকালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি
১৯৭১ সালের পরে কংগ্রেস বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে আসে। কিন্তু যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, তেল সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে সরকারকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। বিহার ও গুজরাটে বিরোধী দল শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং জয়প্রকাশ নারায়ণের মতো প্রবীণ নেতারা ইন্দিরা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
৯.১. নির্বাচনী অসদাচরণ: এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়
১৯৭১ সালে লোকসভা নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধী তার বিরোধী প্রার্থী রাজ নারায়ণকে পরাজিত করেন। তবে রাজ নারায়ণ একটি পিটিশনের মাধ্যমে অভিযোগ আনেন যে, ইন্দিরা সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
প্রায় চার বছর পর, এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মামলায় রায় দেন এবং ইন্দিরার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অতিরিক্ত নির্বাচনী খরচের অভিযোগ আনে। আদালত তার লোকসভা সদস্য পদ বাতিল করেন এবং ছয় বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেন।
ইন্দিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এবং তার পদত্যাগের পরিবর্তে জনসমর্থন ধরে রাখার জন্য আন্দোলন করেন।
৯.২. জরুরি অবস্থা: আইনশৃঙ্খলার সংকট
এই ঘটনায় দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এবং ইন্দিরা ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। সংবিধানের ৩৫২(১) ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। জরুরি অবস্থায় সংবাদপত্রে সেন্সরশিপ আরোপ করা হয় এবং বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী সরকারের শাসন বাতিল করে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রয়োগ করা হয়। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা সরকারের রাজনৈতিক কৌশল বিশেষ করে বিরোধী নেতাদের প্রতি কঠোর মনোভাব, সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
৯.৩. সঞ্জয় গান্ধীর রাজনৈতিক প্রভাব
জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরার পুত্র সঞ্জয় গান্ধীও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হন। তার অনভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, তিনি প্রশাসনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন, যা পুলিশ-শাসিত রাষ্ট্রে পরিণত করে। কথিত আছে, সঞ্জয় তার মায়ের বাসভবন থেকে দেশ পরিচালনা করতেন এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরার প্রভাবের কারণে তা বাস্তবায়িত হয়।
১০. ১৯৭৭ সালের সাধারণ নির্বাচন: ইন্দিরা গান্ধীর শাসনের পরীক্ষা
ইন্দিরা গান্ধী দুই বার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর পর ১৯৭৭ সালে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা করেন। প্রচারমাধ্যমে নিজের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত ধারণা থাকায়, তিনি মনে করেছিলেন এই নির্বাচনে সহজে জয় লাভ করবেন।
তবে এই নির্বাচনে জনতা জোট তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, যার মধ্যে ভারতীয় জন সংঘ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (সংগঠন), সমাজতান্ত্রিক দলসমূহ এবং চরণ সিং-এর ভারতীয় ক্রান্তি দল অন্তর্ভুক্ত ছিল। জনতা জোট 'গণতন্ত্র বনাম একনায়কতন্ত্র' প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রচারণা চালায়, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
১০.১. কংগ্রেসের বিভাজন এবং নতুন দল গঠন
নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন, কংগ্রেসে ফাটল ধরে। জগজীবন রাম, হেমবতী মণ্ডন বহুগুণা ও নন্দিনী শতপথী দলত্যাগ করে কংগ্রেস ফর ডেমোক্রেসি নামে একটি নতুন দল গঠন করেন। এর পেছনে মূল কারণ ছিল সঞ্জয় গান্ধীর প্রভাব এবং ইন্দিরার বিরুদ্ধে দলীয় বিদ্রোহ।
নির্বাচনে কংগ্রেসের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয় এবং কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৩৫০ থেকে কমে ১৫৩-তে দাঁড়ায়।
১০.২. জনতা জোটের উত্থান এবং নতুন সরকার গঠন
জরুরি অবস্থা ওঠার পর মোরারজী দেসাইয়ের নেতৃত্বে জনতা পার্টি সরকার গঠন করে। গান্ধীবাদী নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের নির্দেশনায় জনতা জোট একত্রিত হয়ে 'জনতা পার্টি' রূপ নেয়। জনতা সরকারের অন্যান্য বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে ছিলেন চরণ সিং, রাজ নারায়ণ, জর্জ ফার্নান্ডেজ এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী।
১০.৩. বিরোধী নেত্রী হিসেবে ইন্দিরা গান্ধীর উদয়
নির্বাচনে ব্যক্তিগতভাবে পরাজিত হলেও, ইন্দিরা আবার রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। যশবন্তরাও চবনকে লোকসভায় কংগ্রেস দলের নেতা নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে, ইন্দিরা নিজেই নতুন দল গঠন করেন এবং চিকমাগালুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদে প্রবেশ করেন।
১০.৪. জনতা সরকারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং ইন্দিরার গ্রেফতার
জনতা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চরণ সিং ইন্দিরা এবং সঞ্জয় গান্ধীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন এবং তাদের গ্রেফতার করার আদেশ দেন। তবে এ অভিযোগগুলো প্রমাণ করা সহজ ছিল না। গ্রেফতার ও বিচার প্রক্রিয়া ইন্দিরার প্রতি অনেকের সহানুভূতি অর্জন করে।
১০.৫. জনতা জোটের পতন এবং চরণ সিং-এর প্রধানমন্ত্রীত্ব
জনতা পার্টির মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিবাদ এবং আরএসএস-এর সঙ্গে সম্পর্ক জনতা সরকারের পতনের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চরণ সিং সুযোগ গ্রহণ করে কংগ্রেসের সমর্থন পেতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়।
চরণ সিং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও, কংগ্রেস তার সমর্থন তুলে নিলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন।
১১. ১৯৮০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং কংগ্রেসের পুনরুত্থান
১৯৮০ সালের নির্বাচনের আগে ইন্দিরা জামা মসজিদের ইমামের সাথে চুক্তি করেন মুসলিম ভোট নিশ্চিত করতে। এই নির্বাচনে কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসে।
১১.১. ১৯৮০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী
- নির্বাচনে পুনরায় জয়লাভ: ১৯৮০ সালের জানুয়ারিতে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস দল বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসে। এই নির্বাচনে তিনি মেদক লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন।
- সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু: ১৯৮০ সালের ২৩ জুন দিল্লিতে একটি এরোবেটিক ম্যানুভার প্রদর্শনের সময় একটি বিমান দুর্ঘটনায় ইন্দিরার পুত্র সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু হয়।
- মারুতি উদ্যোগের রাষ্ট্রায়ত্তকরণ: সঞ্জয়ের স্মৃতিতে ইন্দিরা তার প্রতিষ্ঠিত দেনা-জর্জরিত সংস্থা মারুতি উদ্যোগকে রাষ্ট্রায়ত্ত করে এবং জাপানি সংস্থা সুজুকির সাথে যৌথভাবে এটি পরিচালনার ব্যবস্থা করে।
১১.২. রাজীব গান্ধীর রাজনীতিতে প্রবেশ
- রাজনীতিতে আসার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ: ইন্দিরা গান্ধী সঞ্জয়ের মৃত্যুর পরে তার বড় ছেলে রাজীবকে রাজনীতিতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেন। রাজীব মূলত রাজনীতিতে আসতে ইচ্ছুক ছিলেন না।
- তথ্য উপদেষ্টা: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার কর্মচারী এইচ. ওয়াই. শারদা প্রসাদ ইন্দিরার তথ্য উপদেষ্টা ও বক্তৃতালেখক হিসেবে কাজ করতেন।
১২. অপারেশন ব্লু স্টার
১৯৮৪ সালের জুন মাসে ভারত সরকারের উদ্যোগে পরিচালিত সামরিক অভিযান অপারেশন ব্লু স্টার শিখ ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান, স্বর্ণ মন্দিরে সংঘটিত হয়। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল শিখ স্বাধীনতাকামী নেতা জার্নাইল সিং ভিন্দরানওয়ালের নেতৃত্বে স্বর্ণ মন্দিরে অবস্থানরত উগ্রপন্থীদের বিতাড়িত করা।
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযান শিখ ও হিন্দুদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যার ফলশ্রুতিতে তার হত্যাকাণ্ডসহ ভারতজুড়ে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
১২.১. শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদের সূচনা
ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পাঞ্জাব অঞ্চলে পৃথক ভাষিক ও সাংস্কৃতিক স্বীকৃতির জন্য শিখদের আন্দোলন চলছিল। ১৯৬৬ সালে পাঞ্জাবকে ভাষাভিত্তিক বিভক্ত করা হয়, যা শিখদের জন্য ভাষাগত স্বীকৃতি দিলেও পরবর্তীকালে উগ্রপন্থীরা ‘খালিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পড়ে।
১২.২. ভিন্দরানওয়ালের আবির্ভাব
জার্নাইল সিং ভিন্দরানওয়ালে ছিলেন শিখ ধর্মীয় নেতা, যিনি শিখ ধর্মের প্রাচীন মূলনীতির পক্ষে এবং হিন্দু প্রাধান্যের বিরুদ্ধে ছিলেন। তার বক্তব্যগুলো দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় এবং পাঞ্জাবের গ্রামাঞ্চলের শিখদের মধ্যে তিনি বিপুল সমর্থন লাভ করেন। ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক সহযোগিতা সত্ত্বেও, ভিন্দরানওয়ালে শিখদের পৃথক পরিচয়ের দাবিতে চরমপন্থী হয়ে ওঠেন।
১২.৩. স্বর্ণ মন্দিরে অবস্থান ও সামরিক অভিযান
১৯৮৩ সালে গ্রেফতার এড়াতে ভিন্দরানওয়ালে স্বর্ণ মন্দিরে আশ্রয় নেন। তার সমর্থকরা মন্দিরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত করে যা পরবর্তীতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণে প্রণোদিত করে।
মে ১৯৮৪ সালে মেজর জেনারেল আর. এস. ব্রারের নেতৃত্বে অপারেশন ব্লু স্টার পরিচালিত হয়। ৪ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত সংঘটিত এই অভিযানে মন্দিরসহ আশেপাশের অঞ্চলে মারাত্মক সংঘর্ষ হয়।
১২.৪. পরিণতি: ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী ঘটনা
অপারেশন ব্লু স্টার ও এর পরবর্তী ঘটনাগুলো শিখদের মধ্যে ক্ষোভ ও বেদনার জন্ম দেয় এবং খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি প্রবাসী শিখ সম্প্রদায়ের সমর্থন আরো গভীর হয়। এই সামরিক অভিযানের পর ইন্দিরা গান্ধীকে তার দুই শিখ দেহরক্ষী হত্যা করে। এর ফলে দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে শিখবিরোধী দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে এবং হাজার হাজার শিখ নিহত ও আহত হন।
১৩. ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর দুই শিখ নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে নিহত হন। এর একদিন আগে তিনি ওড়িশার ভুবনেশ্বরে শেষ ভাষণটি দেন, যেখানে দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার কথা বলেছিলেন। তাঁর এই ভাষণ ও পরবর্তীতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলো ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
১৩.১. শেষ ভাষণ
৩০ অক্টোবর ভুবনেশ্বরে ইন্দিরা গান্ধী একটি ভাষণ দেন, যেখানে তিনি নিজের জীবনের জন্য চিন্তিত নন বলে জানান। তিনি বলেন, তাঁর জীবনের প্রতিটি রক্তকণা দেশের সেবায় উৎসর্গ হবে। এই বক্তব্যই তাঁর জীবনের শেষ ভাষণ হয়ে ওঠে, যেখানে তিনি নিজের অন্তরের কথা প্রকাশ করেছিলেন।
১৩.২. রক্তাক্ত সকাল
৩১ অক্টোবর সকালে ইন্দিরা তাঁর দৈনন্দিন কর্মসূচি অনুযায়ী তৈরি হন এবং নাশতার টেবিলে আসেন। নাশতার পর তিনি তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকারের জন্য বাড়ির বাইরে পা রাখেন, সাথে ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব এবং নিরাপত্তা কর্মীরা।
১৩.৩. হত্যাকাণ্ডের মুহূর্ত
ইন্দিরা গান্ধী যখন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন শিখ নিরাপত্তাকর্মী বিয়ন্ত সিং তাঁর দিকে রিভলবার থেকে গুলি চালান। প্রথম গুলি ইন্দিরার পেটে লাগে, এরপর আরও দুটি গুলি বুকে ও কোমরে লাগে। সতবন্ত সিং নামের আরেক নিরাপত্তা সদস্য তাঁকে ২৫টি গুলি ছোঁড়েন।
১৩.৪. হাসপাতালে নেয়া ও মৃত্যু ঘোষণা
ইন্দিরাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়, তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই তাঁর প্রাণহানি ঘটে। দুপুর আড়াইটার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়, তবে সরকারি ঘোষণাটি সন্ধ্যার দিকে করা হয়।
১৩.৫. পরিণতি
ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু ভারতে বড় রাজনৈতিক প্রভাব ফেলে। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, তবে তিনিও পরবর্তীতে একই ভাগ্য বরণ করেন।
১৪. FAQ
১৪.১. ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু তারিখ
ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর নিহত হন।
১৪.২. ইন্দিরা গান্ধীর স্বামীর নাম
ইন্দিরা গান্ধীর স্বামীর নাম ফিরোজ গান্ধী।
১৪.৩. ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম ও মৃত্যু
ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর এবং মৃত্যু ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর।
১৪.৪. ইন্দিরা গান্ধীর বাবার নাম কি?
ইন্দিরা গান্ধীর বাবার নাম জওহরলাল Nehru।
১৪.৫. ফিরোজ গান্ধীর ধর্ম কি ছিল?
ফিরোজ গান্ধী পার্সি ধর্মাবলম্বী ছিলেন।
১৪.৬. রাজীব গান্ধীর ধর্ম কি ছিল?
রাজীব গান্ধী হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন।
১৪.৭. ইন্দিরা গান্ধী কবে মারা যান?
ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর মারা যান।
১৪.৮. রাজীব গান্ধী কবে মারা যান?
রাজীব গান্ধী ১৯৯১ সালের ২১ মে নিহত হন।
১৪.৯. ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক দায়িত্ব
ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ ও ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১৪.১০. ইন্দিরা গান্ধীর শিক্ষা
ইন্দিরা গান্ধী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।
১৪.১১. ফিরোজ গান্ধীর পেশা
ফিরোজ গান্ধী একজন সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
১৪.১২. ইন্দিরা গান্ধীর উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ
তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্তকরণ, সবুজ বিপ্লব এবং জরুরি অবস্থা জারির জন্য পরিচিত।
১৫. মন্তব্য
ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় রাজনীতির এক অনন্য প্রতীক, যিনি তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব ও অবিচল সাহসের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ, রাজনৈতিক কৌশল ও ঐতিহাসিক অবদান বর্তমান প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা।
"ইন্দিরা গান্ধী: জীবন, নেতৃত্ব ও ঐতিহাসিক অবদান" শিরোনামের এই লেখাটি আপনাদের কীভাবে প্রভাবিত করেছে, তা শেয়ার করতে মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না। আপনার মূল্যবান মতামত আমাদেরকে আরও ভালোভাবে লেখার প্রেরণা জোগাবে।
ধন্যবাদ
সামরিন ইনফো।
সামরিন ইনফো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url